জামায়াতের সমাবেশ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী জনস্রোত

Any Akter
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:০১ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামাত ইসলামি মহাসমাবেশ কে ঘিরে চারদিক থেকে জনশ্রুত আসছে। রাত থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান  নিলেও মূলত বুট থেকে শুরু হয় প্রবেশ গামী নেতাকর্মীদের জনস্রত। দেশের সকল প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীদের গন্তব্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। জামায়াত এ ভেন্যুতে বড় আকারের সমাবেশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি।

দুপুর ২টায় সমাবেশের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সকাল ১০টা থেকে সাইমুমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। এতে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা নয়, আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়েই শুরু হবে প্রত্যর্পণ

সমাবেশের সাত দফা দাবিতে রয়েছে: ১. জাতীয় নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ২. জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার ৩. মৌলিক সংস্কার ৪. জুলাইন সনদ ও যোষণাপত্র বাস্তবায়ন ৫. জুলাই শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ৬. পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ৭. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে জানান, অতীতে পল্টন ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রথম এবং ঢাকায় এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির হেলথ ক্যাম্পে ১২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা

দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমকে জানান, সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্য, জাতীয় নেতা এবং কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে মাঠে ৩০০ চেয়ার, ওয়াসার পানির সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার বোতলজাত পানি, মেডিকেল বুথ, অজু ও টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩৩টি এলইডি স্ক্রিনে সমাবেশ সরাসরি দেখানো হবে।

সমাবেশ ঘিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ডিএমপি’র সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান পরওয়ার। তবে ঢাকা শহরে যানজট ও জনদুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য নগরবাসীর কাছে আগাম ক্ষমা চেয়েছেন দলটির নেতারা।

এ সময় মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারাও।