জাতিকে বিভক্ত করেছে মব সন্ত্রাস: মির্জা ফখরুল

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৩ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডে তার এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

ফটোকার্ডে মির্জা ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, মব সন্ত্রাস দেশের জন্য গভীর সংকট তৈরি করেছে এবং এর ফলে জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত, রাতে জরুরি বৈঠক

এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেওয়া আরেকটি বার্তায় মির্জা ফখরুল মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “দেশের সংকটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর জন্য যারা অপেক্ষা করে, তারা এই দেশের শত্রু। তারা সংকটের অপেক্ষায় থাকে। আমি এই মব সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি গণমাধ্যমের কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত: নাহিদ

এদিকে ইনকিলাব মঞ্চ তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুলি মাথা ভেদ করে যাওয়ায় তিনি গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিন দিন পর সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ নামের একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার সহযোগী হিসেবে মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখের নামও উঠে এসেছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, তারা দুজনই অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে ১৪ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।