তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রাজনীতিতে সুবাতাস

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৪২ অপরাহ্ন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে জমে থাকা শূন্যতা, হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বনি আলোকবর্তিকা হয়ে উদিত হতে শুরু করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দেশের রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক প্রত্যাশা, আবেগ ও রাজনৈতিক আলোড়ন। রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, শহর থেকে গ্রাম—সর্বত্র এখন একটাই আলোচনা, তারেক রহমান দেশে ফেরায় দেশের রাজনীতিতে জমে থাকা কালোমেঘ অনেকটাই দূর হয়েছে এবং আলোকবর্তিকা উদিত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। তারেক রহমানের ফেরাকে ঘিরে দলীয় উত্তেজনার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ। তবে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতৃদ্বয় বলেছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একের পর এক মামলা, বিতর্ক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে নিজভূমে ফিরছেন তারেক রহমান। যেখানে তার প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার ফেরার গল্প নয়, বরং দলের পুনর্গঠন, গণতন্ত্রের শক্তিকরণ এবং দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মী ও রাজনীতি-সচেতন মানুষের প্রত্যাশা, তারেক রহমানের ফেরার মধ্য দিয়ে বিএনপি নতুন করে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনে নির্বাচন-সংক্রান্ত শঙ্কা দূর হয়েছে: আখতার

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও ফ্রন্টের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এক যৌথ বিবৃতিতে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে আসছে—বিশেষত ২৪-এর গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তির সম্মিলিত চেষ্টা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পথে একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে এবং তিনি জনগণের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা পূরণে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন। নেতারা আরও বলেন, জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংযম, ধৈর্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলাই আজ সময়ের দাবি।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর তারেক রহমান দেশে ফেরায় রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হচ্ছে। একদলীয় শাসনের অভিযোগ, ভোটাধিকার সংকট, বিচারহীনতা ও বৈষম্যের প্রেক্ষাপটে তার প্রত্যাবর্তন নতুন একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন তারা। তারা আরও বলছেন, পূর্বাচলের তারেক মঞ্চ থেকে যদি তারেক রহমান একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক রোডম্যাপ ঘোষণা করেন, তা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য যেমন সুযোগ, তেমনি তার নিজের জন্যও এক কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা। তবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী দিনে তারেক রহমানের ওপর আরও বড় দায়িত্ব আসার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে রাজনীতিতে অনেক পরিণত তারেক রহমানের ফেরার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হওয়ার পথ সুগম হবে বলে প্রত্যাশা তাদের। তারা বলছেন, দেশ এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হয়ে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেছে, এমন এক সন্ধিক্ষণে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে বাঁচার আশার সঞ্চার করেছে। তিনি কেবল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে ফেরেননি, তিনি ফিরেছেন এক নতুন ও আধুনিক বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ রূপকল্প নিয়ে।

এরই মধ্যে তার নির্দেশিত ঐতিহাসিক ‘৩১ দফা’ সারা দেশে এক গণসনদে পরিণত হয়েছে। এই রূপকল্প কেবল বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার নয়, বরং এটি রাষ্ট্র সংস্কারের এক বৈপ্লবিক পরিকল্পনা। সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের যে স্বপ্ন তারেক রহমান দেখিয়েছেন, তা দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ—সবার মধ্যেই উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান বিকি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের দিন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের আগামীর স্বপ্নের রূপকার তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একটি আধুনিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তার প্রত্যাবর্তন মানে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়; এটি জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের নতুন সূচনা।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুবাস বইতে শুরু করেছে। তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি সাংগঠনিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে তৃণমূলের প্রান্তিক কর্মী পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ রক্ষা করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে সংগঠনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রেখেছেন। ফ্যাসিস্ট শক্তি তাকে দেশের মাটি থেকে দূরে সরিয়ে রাখলেও জনগণের হৃদস্পন্দন থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি; বরং দিন দিন তিনি হয়ে উঠেছেন আপামর মানুষের ভরসাস্থল। বিএনপিকে খণ্ডবিখণ্ড করার সব চক্রান্ত তিনি অত্যন্ত দৃঢ় হাতে দমন করেছেন, যা তার সাংগঠনিক পরিপক্বতার প্রমাণ। তার এই নেতৃত্ব কেবল বিএনপিকে রক্ষা করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক গণতন্ত্রকামী শক্তিকে শক্ত মেরুদণ্ড দিয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় পর দেশে ফিরে তারেক রহমানকে আরও পরিণত রাজনীতি করতে হবে। দায়িত্বও বেড়ে যাবে। এতদিনে দলের নেতাকর্মীর বাইরে সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা বেড়েছে। বিএনপির রাজনীতি বিদায়ী সরকারের চেয়ে ব্যতিক্রম—সেটাও প্রমাণ করতে হবে। আবার দলকেও শক্তিশালী করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ও সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিভেদ ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমঝোতামূলক রাজনীতির পথ দেখাতে শুরু করেছেন। আজ সেই আশাবাদ কোটি কোটি মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ড্রইংরুম পর্যন্ত আজ একটাই আলোচনা—তারেক রহমান দেশে ফিরে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এতে রাজনীতি থেকে শুরু করে সবার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তার এই ফেরার মধ্য দিয়ে দেশের অন্ধকার রাজনীতির অবসান এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনছেন দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের এই আকাশচুম্বী প্রত্যাশাকে ধারণ করেই তারেক রহমান আজ জাতীয় নেতার আসনে আসীন হয়েছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরায় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৬ মিনিটে শফিকুর রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। শফিকুর রহমান লিখেছেন, “জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা দিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানকে মাতৃভূমিতে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, “ফিরে আসায় স্বাগতম। বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে ব্যতিক্রমী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছে।” তিনি আরও লেখেন, “আমাদের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অতল গহ্বর থেকে বের করে আনার এবং ঐক্য ও নতুন আশা নিয়ে আসার জন্য আপনার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ অপেক্ষা করছে। আমি আপনার জন্য শুভকামনা জানাই।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই অভিনন্দন জানান তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, “সুদীর্ঘ ১৮ বছর পর জনাব তারেক রহমান সপরিবারে দেশে ফিরেছেন। প্রিয় জন্মভূমিতে আপনাকে সুস্বাগতম। দেশের কল্যাণে নিবেদিত হোক আপনার এই প্রত্যাবর্তন। মসৃণ হোক আপনার আগামীর পথচলা।”

এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি দেশে আসছেন। আমরা ২৪-এর অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই। তিনি আরও বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই ও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করছি।

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের খুঁটিটা যেন মজবুত হয়—সেদিকে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।