স্বর্ণের সন্ধানে মাটি খুঁড়ছেন কয়েক হাজার মানুষ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ন, ২৫ মে ২০২৪ | আপডেট: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের সন্ধানে হাজার হাজার মানুষের ঝড় বয়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ কেউ কোদাল, কেউ বাসিলা, কেউ খুন্তি নিয়ে ভাটায় এসে জমা হয়েছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় সম কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় মাটির স্তূপগুলো স্বর্ণের মতোই জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। রাতে দূর থেকে টর্চের আলোয় আরবিবি ইট ভাটা দেখলে আলোকিত পাহাড় বলেই মনে হবে। রাতের আঁধারে টর্চের আলোতেই চলছে মাটি খননের কাজ। কেউ ভাগ্য বদলের আশায় আবার কেউ শখের বসে গভীর রাত থেকে খুঁড়ে চলছেন স্বর্ণ পাওয়ার আশায়।

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে স্বর্ণের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল-বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় ভিড় করছেন দলে দলে। তাদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

ইটভাটাটির ঠিক পশ্চিম পাশে একটি মাটির স্তুপে বিভিন্ন শ্রেণি মানুষের জটলা। ছোট সাবল নিয়ে আস্তে আস্তে মাটি খনন করে বাছাই করছে বয়স্ক, যুবক, কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে

স্থানীয়রা বলছেন, ওই ভাটার মাটির স্তুপের ভেতর থেকে কয়েকজন সোনা পেয়েছেন। কিন্তু কে সোনা পেয়েছে এ কথা কেউ স্বীকার করছেন না।

রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উমের আলী বলেন, এখন পর্যন্ত স্বর্ণ কেউ পেয়েছে এরকম আমি দেখিনি। তবে শুনেছি মানুষ নাকি স্বর্ণ পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। প্রশাসন আসছিল কিন্তু হাজার হাজার লোক জায়গাটা ঘিরে রাখায় তারা কিছুই চেক করতে পারেনি।

আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তুপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তুপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন-রাত ওই মাটির স্তুপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো টুকরো পেয়েছে এমন খবর তারা পায়নি।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।