নষ্ট হচ্ছে পিরোজপুর ফেরি বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ, রাতের আঁধারে চুরি করছে একটি চক্র

Any Akter
মোঃ তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ন, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ৪:০২ পূর্বাহ্ন, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত

অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে থাকা ফেরী বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। জেলার বিভিন্ন স্থানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ফেরীসহ সড়ক বিভাগের মূল্যবান এ সব সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনে নেই সামান্য উদ্যোগ। নদী বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত এক জনপথ পিরোজপুর । জেলার অভ্যন্তরে অসংখ্য নদীনালা ও জেলার চার পাশে কচা, কালিগঙ্গা ও বলেশ্বরের মতো বড় বড় নদী থাকায় জেলার অভ্যন্তরীন ও দেশের অন্যান্য স্থানে সড়ক যোগাযোগের জন্য ফেরী অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। 

বিগত বছর গুলোতে অনেক প্রতিকুল অবস্থা পেরিয়ে জেলার ১১ টি স্থানে গড়ে ওঠে ফেরী সার্ভিস। যার মধ্যে পিরোজপুর বরিশাল সড়কের বেকুটিয়া, পিরোজপুর মঠবাড়িয়া সড়কের কচাঁ নদী ও পিরোজপুর খুলনা মহা সড়কের বলেশ্বের নদী অন্যতম। এর মধ্যে সদরের বলেশ্বর, ইন্দুরকানী ও কচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্টে এবং বৈঠাকাঠা সড়কের দীর্ঘা ও কালিগঙ্গা নদীতে ব্রীজ হওয়ায় ঐ সব স্থানের ফেরী ও প্লাটুনগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে এ সব ফেরী ও প্লাটুন গুলো পতিত অবস্থায় থাকায় দিনে দিনে নষ্ট হয়ে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে সড়ক বিভাগ । 

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল ছবুর মুন্সী বলেন, বেকুটিয়া ফেরিঘাটে বসে বেশ কয়েকটি ফেরী নষ্ট হচ্ছে এবং রাতের আঁধারে একটি চোর চক্র এগুলি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সরকারি এসব সম্পত্তি রক্ষার জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না । 

পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট-দেওনাখালি খেয়াঘাট এলাকায় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, আমরা দেওনাখালি খেয়াঘাট এলাকা থেকে হুলারহাট হয়ে জেলা শহরের সাথে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করি। কিন্তু এই খেয়াঘাট থেকে আসা-যাওয়া করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয় ।বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করি । এখানে একটি ফেরির ব্যবস্থা করা হলে আমরা যানবাহন নিয়ে জেলা সদরের সাথে কাউখালী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মানুষ চলাফেরা করতে পারতাম। 

পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, তদারকি না থাকায় এসব ফেরী ও প্লাটুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে ফেরীর মালামাল। বাজারে লোহার দাম চড়া থাকায় রাতের আধারে ফেরী ও প্লাটুনের লোহা কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জেলায় মোট ১২ টি ও প্লাটুন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। যার অধিকাংশের মালামাল ইতোমধ্যেই চুরি হয়ে গেছে।