জীবননগরে নারী সাংবাদিক টুনির বাসা থেকে মদের বোতল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার

Sadek Ali
সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ন, ০৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ৯:০১ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবননগরে কথিত নারী সাংবাদিক মাসুরা খাতুন টুনির (২৮) ভাড়া বাসা থেকে মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম, সিগারেট, জন্ম নিরোধক কনডম উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ৪ টার সময় জীবননগর পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের টিএ্যান্ডটি পাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাসুরা খাতুন টুনির ৭ দিনের জেলসহ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টুনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার তেঘরি গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে। টুনির বাসায় অভিযান চালিয়ে দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধির একটি পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। টুনি পৌনে দু’ বছর যাবৎ জীবননগর পৌর শহরের টিএ্যান্ডটি পাড়ার খলিলুর রহমানের বাসার চতুর্থ তলার একটি ইউনিট ভাড়া নিয়ে একা বসবাস করতেন। টুনি এর আগে বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এবং হাজতবাস করেছেন। 

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মাসুরা খাতুন টুনি পৌনে দু’বছর আগে জীবননগর পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের টিএ্যান্ডটি পাড়ার খলিলুর রহমানের বাসার চতুর্থ তলার একটি ইউনিট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে সিগারেট খেতেন। বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা করাতেন এবং প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতেন।

এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে অপরিচিত একটি ছেলে ও এক মেয়ে টুনির বাসায় আসে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা টুনির বাসায় গিয়ে এসব অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেন। এ সময় কৌশলে ওই ছেলে এবং মেয়েটি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জীবননগর থানা পুলিশকে জানায়। বিকেল ৩ টার সময় পুলিশ কথিত সাংবাদিক মাসুরা খাতুন টুনির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম, জন্ম নিরোধক কনডম উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

টুনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি অবিবাহিত। তিনি পৌনে দু’ বছর ওই বাসায় একা বসবাস করছেন। পরে জীবননগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহাবুবা মঞ্জুর মৌনা ভ্রাম্যমাণ আদালত  পরিচালনা করেন। টুনি আদালতে তার দোষ স্বীকার করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাদকদ্রব্য আইনে ৩৫/৫ ধারা অনুযায়ী টুনিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।