গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ, শহরে আতঙ্ক ও নীরবতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জ শহরে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর শহরে নেমে এসেছে আতঙ্ক ও থমথমে পরিবেশ। বুধবার বিকেলে এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সশস্ত্র নিরাপত্তায় সরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে শহরজুড়ে শুরু হয় নিস্তব্ধতা। দুপুর থেকেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর শহর কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়ে। মানুষের চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় রিকশা সীমিতভাবে চললেও ইজিবাইক বা অন্য কোনো যানবাহন চোখে পড়েনি। শহরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় দেখা গেছে ভাঙা ইট, কাঠ, বাঁশ ও পুড়ানো টায়ারের ছাই। অনেক জায়গায় পড়ে ছিল সংঘর্ষে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
তবে রাতে শহরের রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য।
রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের পৌর পার্কের কাছে একজন দিনমজুর বলেন, ঘটনার পর শহরে চলাফেরা করতে ভয় লাগছে। আমি বেদ গ্রামে থাকি। আগে ঢাকায় চাকরি করতাম, করোনার সময় চাকরি হারিয়ে গোপালগঞ্জে এসে দিনমজুরের কাজ করি।
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
একজন রিকশাচালক বলেন, "দুপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করি, রাতে রিকশা চালাই। কিন্তু আজ প্যাসেঞ্জার নেই। আতঙ্কের মধ্যে আয় হচ্ছে না, তবুও রাস্তায় আছি।
একজন পথচারী জানান, কাজ শেষে রাত হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরছি। শহরের পরিস্থিতি ভয়ংকর, চলাফেরা করতে ভয় লাগছে।





