কেরানীগঞ্জে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর বিরুদ্ধে

Sanchoy Biswas
মো. রবিউল আওয়াল, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৮:৫১ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয় তলার নারী ব্যারাকে কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানার পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত সাফিউরের স্ত্রী একই ব্যারাকে থাকলেও বিষয়টি আগে জানতেন না।

ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, সাফিউর রহমান তাকে বিয়ে করলে সব অভিযোগ তুলে নেবেন তিনি। বর্তমানে ওই নারী পুলিশ, অভিযুক্ত সাফিউর ও তার স্ত্রী—তিনজনকেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে তদন্ত করছে পুলিশের একটি বিশেষ দল।

আরও পড়ুন: আমি গণতন্ত্রের জন্য শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি: কাজী মনিরুজ্জামান মনির

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর সাফিউর প্রথমে পরিচিত হতে আসেন। এরপর গত রমজানে ঈদের পর রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তিনি রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন।

এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইবনে ফরহাদ ও ওসি (তদন্ত) আল-আমিন হোসেন বিষয়টি জানার পরও সাফিউরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এছাড়া ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন মামলা নিতে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ বিএনপির দপ্তরে

অভিযুক্ত সাফিউর রহমান সাংবাদিক পরিচয় শুনে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, তার কাছে ওই নারী পুলিশ সদস্য কোনো অভিযোগ করেননি এবং বিষয়টি এসপি স্যার দেখছেন।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।