উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলনে সহিংসতা, নিহত ১

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। ২৩ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে তা অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী মাঠে নামলে সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হন, আহত হন অন্তত ১৫ জন। পরে বিকেলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবার থেকে কারখানাগুলো চালু থাকবে কি না।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ সহিংসতায় এলাকা আতঙ্কিত হলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে ইপিজেড বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দোকানদাররাও।
এদিকে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া যাবে না এবং গুলির নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করে বিচার করতে হবে। সাত দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।