এগার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই

জনবল-ঔষধ সংকটে সিরাজদিখানে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

Sadek Ali
দেবব্রত দাস দেবু, সিরাজদিখান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫৩ অপরাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল ও ওষুধ সংকট চলছে। এর ফলে প্রতিমাসে হাজারো মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা  এগার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নে পেয়ে  প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত এগার মাস  ধরে কোনো ধরনের ওষুধ সরবরাহ না থাকায় এ কেন্দ্রে কার্যত চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। গর্ভবতী মায়েদের  প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যপরামর্শ, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ার মতো সাধারণ রোগের চিকিৎসা দিতে গিেেয়ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। অপর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মী সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র রয়েছে। গত এগার মাস ধরে এসব কেন্দ্রে কোনো ধরনের ওষুধ সরবরাহ না থাকায় এ চিকিৎসা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। 

সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা বাঁধন আক্তার ও মুক্তা মল্লিক  ক্ষোভ  প্রকাশ করে বলেন, আগে এখান থেকে ওষুধ ও পরামর্শ পেতাম। এখন না ডাক্তার আছে, না ওষুধ। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে দাম দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস

এ ব্যাপারে এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফছানা পারভীন জানান,আমাদের ফ্যামিলি প্লানিংয়ের লোকবল অনেক কম আমাদের ১৪৮ জনের মধ্যে প্রায় ৭৫ জন লোকবল আমাদের নেই। ২০২৪ইং সালের নভেম্বর মাস হতে ওষুধ সংকটের বিষয়টি আমরা বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমারা এখন স্থায়ী ও অস্থায়ী পদ্ধতীর বিভিন্ন ঔষধ দিতে পারছি। এজন্য আমাদের কাজের মান কিছুটা ধীর। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেন গর্ভবতী নারীদের জরুরি সেবা বন্ধ না হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় সীমিত পরিসরে কিছু সেবা চালু রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. ফকরুল আলম বলেন, শুধু মুন্সীগঞ্জে বিভিন্ন পদে জনবল সংকট রয়েছে,আমি নতুন এসেছি বিভিন্ন পদের লোকবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওষুধ সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে আগামী দুই এক সম্পাহের মধ্যে এই সংকট দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার অভিযোগ করেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তারা হতাশ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।