বান্দরবান পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় ২২০ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন

পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩২ টি পূজামণ্ডপে ২২০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আগামী দুই অক্টোবর পর্যন্ত পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পার্বত্য বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় এবার ৩২ টি পূজা মন্ডপে জাঁক জমক ভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। অন্যান্য জেলার ন্যায় এ বছর বান্দরবান পূজা মণ্ডপের মধ্যে সদরে ১১টি লামা উপজেলায় ৮টি, আলিকদমে ৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪টি, থানচি ২টি, রুমা ১টি ও রোয়াংছড়িতে ১টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে শারদীয় দুর্গা উৎসব। সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পূজা মণ্ডপ গুলোতে পিসি ১৪ জন এপিসি ৩২ জন পুরুষ ভিডিপির সদস্য ১১০ জন ও মহিলা ৬৪ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
বান্দরবান দশ আনসার ব্যাটালিয়ন পরিচালক এবং (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পার্বত্য বান্দরবান জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম, বিএএম, পিএএম, জানান, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান
এছাড়াও শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে ১৪টি পূজামণ্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আটজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ১৮টি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সময় তিনি আরো জানান, বান্দরবান জেলায় যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ব্যাটালিয়ন আনসার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় সর্বত্র কাজ করবেন।