'মা ইলিশ সংরক্ষণ-২০২৫' উপলক্ষে চাঁদপুরে নৌবাহিনীর অভিযান

Sanchoy Biswas
শ্যামল সরকার, চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

১৫ অক্টোবর সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইলিশ প্রজনন মৌসুমে 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার' এর আওতায় সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে 'মা ইলিশ সংরক্ষণ-২০২৫' অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে নৌবাহিনী।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৬-১০-২৫) কমান্ডার বিএন ফ্লীট কমান্ডারের জাহাজ বানৌজা ধানসিঁড়ি চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মাঝেরচর, মাঝিরচর, হরিনা ফেরীঘাট, চর ভৈরবী এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকার প্রায় ১ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসন/মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক ধ্বংস করা হয়। ইতোমধ্যে চাঁদপুরে গত ৪ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নৌবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১০ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাবাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, পুলিশের হাতে আটক ছেলে

দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীসহ জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রজনন সম্ভাব্য স্থানসমূহে নৌবাহিনী নিবিড়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান করছে। শুধু নৌবাহিনীর জাহাজই নয়, বরং বিভিন্ন বোটের মাধ্যমে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে প্রজননকালীন সময়ে ইলিশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নৌবাহিনীর সদস্যগণ। এর ফলে সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে অবৈধভাবে মাছ আহরণ যথেষ্ট কমে এসেছে।

'মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫' বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর নিয়োজিত জাহাজসমূহ সুবিশাল বঙ্গোপসাগর ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে মৎস্য শিকার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অভিযান ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। বর্ণিত সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকাতেও সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নৌযান কর্তৃক নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন: বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসিসহ তিন কর্মকর্তা ক্লোজ

অভিযান পরিচালনাকালে নৌসদস্যগণ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অভিযানের ফলে দেশের সমুদ্রসীমা ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।