ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, নেপথ্যে কী

Sanchoy Biswas
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ন, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৬ অপরাহ্ন, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ বিপণী বিথীর সকল দোকান উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে জেলা শহরের সকল ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির ডাকে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলা শহরে প্রায় এক হাজার ওষুধের দোকান রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিপণী বিথীতে ১৪টি দোকান রয়েছে, যার অধিকাংশই ওষুধের দোকান। সম্প্রতি কলেজে দৃষ্টিনন্দন ফটক ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় বিপণী বিথীর দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবি তোলে কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করে।

আরও পড়ুন: মাইক ভাড়া করে গালাগাল করার পর বিদেশযাত্রার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে রাব্বির

ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সব নিয়ম মেনে বৈধভাবে মহিলা কলেজ বিপণী বিথীতে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। হঠাৎ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ দোকান উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে— যা অন্যায় ও অমানবিক। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি নূর আলম বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে আমাদের দোকান ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে দোকান উচ্ছেদের আন্দোলন করানো হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই আচরণ অমানবিক। বৈধভাবে আমরা দোকানগুলো পরিচালনা করছি। তারা এভাবে আমাদের উচ্ছেদ করতে পারে না। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলতে থাকবে।”

আরও পড়ুন: ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ধ্বংসস্তূপ ক্যাম্পাস, থমথমে পরিস্থিতি

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, “কলেজের সামনে দোকানপাট থাকার কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দোকান উচ্ছেদ করে ফটক ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”