সিলেটে সিপিবি নেতা আটক

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:৪৩ অপরাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে আটক করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে জালালাবাদ থানা–পুলিশ।

এসএমপি’র উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আটক করার কারণ বা মামলার বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি। সিপিবি সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ হঠাৎ এসে সুমনকে নিয়ে যায়। পরিবারকেও কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-বিজেপির সংঘর্ষে পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত ৫০

তিনি জানান, সুমনের আটকের ঘটনায় সিপিবি নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের প্রতিবাদে চালকদের আন্দোলনে সরব ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন। গত মঙ্গলবার ১১ দফা দাবিতে চালকরা নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেন, যেখানে সুমনও নেতৃত্ব দেন।

আরও পড়ুন: কুলাউড়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১৩ ভারতীয় গরু আটক

আন্দোলনের একপর্যায়ে তিনি ও কয়েকজন নেতার সঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের বৈঠক হয়। সে সময় সুমন রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে শুক্রবার মধ্যরাতেই তাকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী অভিযোগ করেন, অটোরিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।

তিনি জানান, সংঘাতের আশঙ্কায় শনিবার ও রোববারের কর্মসূচি পালনের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। কমিশনারের নেতৃত্বে চলা ওই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ এবং চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর থেকেই নগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে।

এটিকে কেন্দ্র করে অটোরিকশাচালক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সিপিবি নেতারা জানিয়েছেন, তারা আনোয়ার হোসেন সুমনের নির্বিঘ্ন মুক্তির দাবি জানাবেন এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।