স্বর্ণের দোকানে অভিনব কায়দায় চুরি: মূল হোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

Any Akter
অপূর্ব সরকার,পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ন, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালী সদরের একটি স্বর্ণের দোকানে চেতনা নাশক ব্যবহার করে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় পুলিশের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পুলিশ যানায়, গত ১১ নভেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় দুইজন অজ্ঞাতনামা নারীসহ একটি চক্র পটুয়াখালী পৌরসভার নতুন বাজার এলাকার শ্রীগুরু গোল্ড হাউস জুয়েলারি দোকানে প্রবেশ করে অভিনব কায়দায় চুরি সংঘটিত করে। দোকানদার লিটন মালাকার জানান, দুই নারী প্রথমে স্বর্ণের দুল বিক্রি ও পরে চেইন কেনার কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখে। এক পর্যায়ে তারা দোকানে থাকা পানি চাইলে দোকানদার পানি দিতে গেলে তাদের একজন সহযোগী দোকানদারের নাকের কাছে চেতনা নাশক জাতীয় দ্রব্য ধরে এতে দোকানদার ও কর্মচারী সাময়িকভাবে জ্ঞান হারান এবং অচেতন অবস্থায় চক্রের সদস্যরা যা বলে তিনি তাই করেন।

জ্ঞান ফেরার পর দোকানদার দেখতে পান স্বর্ণের কানের দুলের স্টক বক্সটি দোকান থেকে উধাও। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার সময় মোসাঃ রাবেয়া বেগম দক্ষতার সঙ্গে স্বর্ণের স্টক বক্সটি নিজের ওড়নার মধ্যে লুকিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান। এ ঘটনার পর লিটন মালাকার বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা নং৩২, তারিখ ২১-১১-২০২৫, ধারা ৩২৮/৩৮০/৩৪ পেনাল কোডে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ পটুয়াখালীর দিকনির্দেশনায় পটুয়াখালী সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন স্থানের শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের চিহ্নিত করে ২৪ নভেম্বর দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১.মোসাঃ রাবেয়া বেগম (৫৪)  ২. মোসাঃ মনোয়ারা বেগম (৪৪) ৩. মোঃ সেলিম জাবেদ (৩৮), সর্ব থানাকোতয়ালী, জেলাদিনাজপুর। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ব্যবহৃত বোরকা, ওড়না, ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তিনজনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায় যে দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। মোঃ সেলিম জাবেদ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যেযেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।