সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের একাংশে এবার পিআইসি নেই, বেরীবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি কৃষকদের

Sanchoy Biswas
মো. আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৫৬ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন সংলগ্ন দেখার হাওরের একাংশে বেরীবাঁধ না থাকায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। আগাম বন্যার আশঙ্কায় তারা দ্রুত বেরীবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দেখার হাওরের লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের অংশে অবস্থিত শাহপাথারিয়া বিল, কাইমা বিল ও দাপা বিলে চলতি মৌসুমে কোনো ফসলরক্ষা বাঁধ বা পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করা হয়নি। অথচ গত বছর এসব এলাকায় ছয়টি পিআইসি গঠন করে বেরীবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার পিআইসি না থাকায় প্রায় পাঁচ হাজার একর ফসলি জমি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

আরও পড়ুন: বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, খইপারা গাঙ দিয়ে শহর ও আশপাশের এলাকার পানি প্রবাহিত হয়। বর্ষা বা অতিবৃষ্টিতে এ গাঙের পানি ফুলে উঠে নিচু এলাকার বোরো জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। গত বছর বেরীবাঁধ থাকায় ফসল রক্ষা সম্ভব হলেও এবার বাঁধ না থাকায় বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে তারা হাতিরকান্দা থেকে বৈরাগীর বাঁধ পর্যন্ত দ্রুত বেরীবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

ছলিমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান, নীলপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, রাবার বাড়ি গ্রামের নাছির মিয়া, সৈয়দুর রহমান, জমির আলী, মতিন মিয়া ও রিপন মিয়া, তাজপুর গ্রামের রফিকুল আলম ও আইয়ূব আলী এবং গোবিন্দপুর গ্রামের আক্তার হোসেনসহ অনেক কৃষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে মাছধরার বোটসহ আটক-১৬

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, এবার বেরীবাঁধ না থাকায় কৃষকেরা আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন। অতিবৃষ্টি হলে খইপারা গাঙের পানি ফুলে উঠে ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত বেরীবাঁধ নির্মাণ জরুরি।

ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর আমাদের এই হাওরে পিআইসি দেওয়া হতো। কিন্তু এবার দেওয়া হয়নি। এতে আমরা বড় ঝুঁকিতে পড়েছি।

ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, এবার যদি বাঁধ নির্মাণ না হয়, তাহলে আমাদের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, দেখার হাওরে বেরীবাঁধ না থাকায় কৃষকেরা হতাশ। তবে পিআইসি নিয়ে কোনো শুনানি হয়নি। আমরা আশা করি উপজেলা প্রশাসন সুদৃষ্টি দেবেন। আমরা দ্রুত বেরীবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন বলেন, দেখার হাওর আমাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভে চলমান আছে। বিষয়টি আমি দেখবো।