বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক

নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা দেশের সাধারণ মানুষ। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪টি কারণ চিহ্নিত করেছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়ে ৬ টাকা, পাম অয়েলের দামও বৃদ্ধি
যেসব কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া।
একই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫ ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতির গুজব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
এর আগে বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।