ডাকসু নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, প্রতিবাদের ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট “অপ্রতিরোধ্য ৭১, অদম্য ২৪” প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী ফাহমিদা আলমকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অপরদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার দুপুরে টিএসসি থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা, জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী কীভাবে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি দিতে পারে? অথচ প্রশাসন এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা দাবি জানাই, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাস তখনই নিরাপদ হবে, যখন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি স্থান নিরাপদ হবে।”
প্যানেলের আরেক প্রার্থী তানভীর বারী হামিম বলেন, “ রগ লাগলে রগ দিব। তারপরও ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।” তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে “মাজা ভাঙা” প্রশাসন আখ্যা দিয়ে বলেন, “দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুন।”
আরও পড়ুন: ঢাবির পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত: ‘আমাদের লাল বাস’ লাইভ ট্র্যাকিং অ্যাপ চালু
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “আমরা ডাকসু নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছি, পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়েও সোচ্চার। কিন্তু প্রশাসন এখনো সাইবার বুলিংসহ এসব ঘটনায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির। সোমবার রাতে সংগঠনটির নেতারা প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দাখিল করেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।