বোরকা–হিজাব পরায় এক নারী শিক্ষার্থীকে থুতু নিক্ষেপ ও শারীরিক হেনস্থা
 
                                        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কার্জন হলের সামনের রাস্তায় বোরকা/হিজাব পরায় এক নারী শিক্ষার্থীর ওপর গালিগালাজ, থুতু নিক্ষেপ ও শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে।
ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং বিভিন্ন হল সংসদের নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এবং দ্রুত তদন্ত ও যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর থেকে
ডাকসু নেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, প্রশাসনের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত বাস্তবিক প্রতিক্রিয়া পাইনি, তাই লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ওই এলাকায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি নজরদারি না পাওয়া গেছে — যা আশঙ্কার বিষয়। শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকা উদ্বেগজনক।
তামান্না আরও বলেন, আহত শিক্ষার্থী মানসিকভাবে হতবাক ও ট্রমাজনিত অবস্থায় আছেন; তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলার অবস্থায় নেই। কেবল গালি-গালাজ ও থুতু নিক্ষেপেই ক্ষান্ত হয়নি, পরবর্তীতে তাকে শারীরিকভাবে টেনে ধরে লাঞ্ছিত করা হয়েছে— এমন অভিযোগ উঠে। ডাকসু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই ঘটনা ন্যাশনাল ইস্যুতে রূপ নিতে পারে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৩ ডিসেম্বর
ঘটনাস্থলে থাকা ভুক্তভোগী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ক্লাস শেষে কার্জন থেকে ফিরছিলাম—জুলোজি ডিপার্টমেন্টের পাশের ওই রাস্তায় গেলে হঠাৎ একজন নারী ‘আপু’ বলে চিৎকার করে তার দিকে থুতু নিক্ষেপ করে এবং “তুই ঐখানকার মেয়ে না? সব পাকিস্তানি!” ইত্যাদি বর্ণনাত্মক ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে সেই ব্যক্তি তার হাত ধরে টেনেই গালিগালাজ শুরু করে এবং শারীরিকভাবে তাড়া করে; ভুক্তভোগী কষ্ট করে মুক্তিয়ে দৌড়ে পালান। তিনি লিখেছেন, এখনও গালির শব্দ ও আঘাতের অভিজ্ঞতা তার কানে বাজছে এবং চোখে অশ্রু মুছতে পারছেন না।
ডাকসু নেতারা সতর্ক করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দ্রুত, স্বচ্ছ ও কড়া পদক্ষেপ না নেন তাহলে এ ঘটনা আরও জটিল আকার নিতে পারে। তারা দাবি করেছেন—কঠোর তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন লাঞ্ছনাকারী আচরণ প্রতিরোধে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসিটিভি নজরদারী নিশ্চিত করতে হবে।
প্রক্টর অফিস দুই কার্যদিবসের সময় চেয়েছে অভিযোগ তদন্তের জন্য; ডাকসু এটিকে যথেষ্ট মনে করছে না এবং দ্রুত ফলাফল দাবি করেছে।





 
                                                    
 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                    