তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ডাকসু নেতার
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র—এই তিন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশের ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “ডাকসুর পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামে আমাদের দাবি ছিল—লীগের সকল সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু করা। চিরুনি অভিযান কিছুটা সন্তোষজনক হলেও গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার এখনো আশানুরূপ নয়।”
আরও পড়ুন: সিকৃবিতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২-এর আওতায় গত তিন দিনে সারাদেশে ৪ হাজার ৩৬০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে নিরপরাধ নাগরিককে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন। “কেবল প্রকৃত সন্ত্রাসী ও অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে,”—বলেন তিনি।
মুসাদ্দিক আলী অভিযোগ করেন, বহু সন্ত্রাসী এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের হাতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে এর দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকেই বহন করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিশ্রমে গ্রেপ্তার হওয়া সন্ত্রাসীরা উচ্চপর্যায়ের সুপারিশ ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জামিন পাচ্ছে। “এই জামিন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে এর দায় আইন উপদেষ্টার ওপর বর্তাবে,”—বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবারো ধরা পড়লো ভুয়া শিক্ষার্থী!
ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্তের সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলেও মূল শুটার ফয়সালকে গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ করেন ডাকসুর এই নেতা। একই সঙ্গে খুনিদের, বিশেষ করে হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও কার্যকর উদ্যোগের অভাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে মুসাদ্দিক আলী বলেন, “বক্তব্য দৃঢ় মনে হলেও বাস্তব উদ্যোগ ছাড়া এগুলো ফাঁকা বুলি হয়ে থাকবে।” তিনি দ্রুত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে ভারতের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, “এসব দাবির বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।





