কাউকে ভয় দেখানোর লাইসেন্স আমরা দিইনি: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

মালদ্বীপ ছোট দেশ হতে পারে কিন্তু কাউকে ভয় দেখানোর লাইসেন্স আমরা দিইনি, বলেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু।
চীনে পাঁচ দিনের হাই-প্রোফাইল রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট মুইজু একটি প্রতিবাদী নোট দেন। তাতে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে এই কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুইজু সরকারের তিন মন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে ভারতের সাথে কূটনৈতিক বিরোধ শুরু হয় মালদ্বীপের। এরপর ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যম- সব জায়গায় মালদ্বীপ বিরোধী প্রচারণা দেখা যাচ্ছে। দেশটিকে বয়কট করা বিশেষ করে ভারতীয় ট্যুরিস্টদের মালদ্বীপ ভ্রমণে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
মালদ্বীপের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত পর্যটন। আর দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক যায় ভারত থেকে। ফলে ভারতীয়দের বয়কটের ডাকে এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি। ফলে এই সংকট থেকে উত্তরণে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চীনের সহযোগিতা চাইছে দেশটি।
আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
এদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের চীন সফরে যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তাকে চীনপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত নভেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম চীন সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি বলেন, যদিও আমাদের এই মহাসাগরে ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, আমাদের ৯ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। মালদ্বীপ এই মহাসাগরের সবচেয়ে বড় অংশীদার দেশগুলির মধ্যে একটি।
নাম উল্লেখ না করলেও ভারতকে ইঙ্গিত করে মুইজু বলেন, ‘এই মহাসাগরটি (ভারত) কোনো নির্দিষ্ট দেশে নয়। এই মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত সকল দেশের এতে অধিকার রয়েছে।’
তিনি বলেন, আমরা কারও বাড়ির উঠোনে নই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।
মুইজু বলেন, আমরা ছোট দেশ হতে পারি কিন্তু কাউকে আমাদের ধমকানোর লাইসেন্স দিইনি।
চীন সফরে মুইজু প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনা করেন। তার সফরে দুই দেশ ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে।