ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় শান্তি আসবে না: রাশিয়া

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:২১ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইসরায়েলি জিম্মি ও প্যালেস্টিনি বন্দিদের বিনিময় অবশ্যই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে এটি গাজার যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান আনতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি পূর্ণাঙ্গ প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হয়।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ইসরায়েলি জিম্মি ও প্যালেস্টিনি বন্দিদের মুক্তি অবশ্যই ভালো বিষয়, কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠিত না হয়, যুদ্ধ চলতেই থাকবে। সবাই তা জানে।

আরও পড়ুন: ‘আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে নয়’

এর আগে সোমবার সকালে হামাস প্রায় ২ হাজার প্যালেস্টিনি বন্দির বিনিময়ে ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দিয়েছে। এটি গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে সম্পন্ন হয়। হামাস জানিয়েছে, তারা আরও চার ইসরায়েলি বন্দির মরদেহও হস্তান্তর করবে।

গত সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ২৯ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত তাঁর শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে—সমস্ত ইসরায়েলি জিম্মিকে প্যালেস্টিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্ত করা, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, এবং দ্বিতীয় ধাপে হামাসবিহীন নতুন প্রশাসনিক কাঠামো ও বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৮০০-এরও বেশি প্যালেস্টিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজা কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।