সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করছে - পরিবেশমন্ত্রী

সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতা নিশ্চিতে তরুণদের বিশেষ করে নারীদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী।
মন্ত্রী তরুনদের জলবায়ু ন্যায়বিচারের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা নিতে এবং বিশ্ব নেতাদের জবাবদিহি করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন বিশ্বের এবং এর জনগণকে রক্ষা করে এমন নীতিমালা এবং উদ্যোগগুলি গঠনে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে "জলবায়ু ন্যায়বিচারের উন্নয়ন: আদালত ও যুব সমাজের ভূমিকা" শীর্ষক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক মেমোরিয়াল পাবলিক লেকচারে পরিবেশমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রয়াত প্রখ্যাত জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। তিনি বলেন, অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য এবং সবার জন্য একটি ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করা এবং সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত। তরুণদের সম্পৃক্ততা একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। মন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
প্রফেসর ডঃ সিজার রদ্রিগেজ-গারভিটো, অধ্যাপক, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ল, ইউএসএ এই অনুষ্ঠানে মামলার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রচারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ ফারহিনা আহমেদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ তানভীর হাসান, উপাচার্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং আইসিসিএডির পরিচালক এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের ছেলে সাদিক হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নীতিনির্ধারক এবং জলবায়ু কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টটি সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের দিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সমাপ্ত হয়। অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের স্মৃতি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের জরুরিতার অনুপ্রেরণামূলক অনুস্মারক হিসেবে কাজ করবে।