ইইউর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, সংযোগ (কানেক্টিভিটি), সুন্দর অর্থনীতি, বৃত্তাকার অর্থনীতিসহ নিরাপত্তার প্রচলিত ও অপ্রচলিত ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একযোগে ২৯ কর্মকর্তার বদলি
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইইউর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। যাতে বিশ্বে কোথাও মানুষকে যুদ্ধের ভয়াবহতা সহ্য করতে না হয়। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় এবং বিশ্বজুড়ে মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশ জ্ঞান, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করে ভবিষ্যতে বিস্তৃত অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার, সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যা বিদ্যমান অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে চলেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে এশিয়া এবং এর বাইরেও দ্রুততম বর্ধনশীল একটি অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলী) রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এশিয়া ও প্যাসিফিক) নিকলাস কাভার্নস্টর্ম অংশগ্রহণ করেন।
গেস্ট অব অনার হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এশিয়া ও প্যাসিফিক) নিকলাস কাভার্নস্টর্ম অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অভিনন্দন জানান।