পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪ | আপডেট: ৭:১৪ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ ভোকা (এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল /ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স) এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগিদ দেন। 

মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান  চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব মান দিবস আজ

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেয়ার জন্য খামারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান। 

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহবান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে. মেগ্রেট এসময় উপস্থিত ছিলেন।