আজ ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ২৩ মে ২০২৪ | আপডেট: ৮:১৩ পূর্বাহ্ন, ২৩ মে ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিঃ সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিঃ সংগৃহীত

১৪ দলের শরিকরা থাকবে কি থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার আওয়ামী লীগের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছে। জোটের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কিনা, সে বিষয়েও ১৪ দলের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগকেই ভেবে দেখতে হবে বলে মনে করছে তারা। তবে জোট রাজনীতি অব্যাহত রাখতে হলে অবহেলা ও অবমূল্যায়নের অবসান ঘটিয়ে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা চাইছেন এসব শরিক দলের নেতা।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সভায় সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

বিগত দুই মেয়াদে সরকারে থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল ১৪ দলের শরিকদের। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আরও প্রকট আকার ধারণ করে রেষারেষি। বিশেষ করে কম আসনে ছাড়, সরকারে না রাখা, কর্মসূচি ও বৈঠক না হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ শরিক দলের অনেক নেতা। কেউ কেউ প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এমন প্রেক্ষাপটে জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের নিজ বাসভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী; যেখানে ঘুরেফিরেই আসছে ১৪ দলের অস্তিত্বের প্রশ্নটি।

সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ১৪ দলের নেতারা। ওই বৈঠকে জোটবদ্ধ নির্বাচন এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৬টি আসন ছাড়লেও এবার কমিয়ে মাত্র ছয়টি আসন ছাড়া হয় শরিকদের জন্য। এতে ক্ষুব্ধ হন জোটনেতারা। এছাড়া শরিকদের আপত্তি সত্ত্বেও ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ। ফলে ছয়টির মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জেতেন শরিক দলের নেতারা। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ গঠিত সরকারেও রাখা হয়নি শরিক দলের কাউকে।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

শরিক নেতাদের অনেকেই বলছেন, তারা প্রাপ্য সম্মান চান। অবহেলার পাত্র হয়ে থাকতে চান না। জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, এ বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পরিষ্কার অবস্থানের কথা জানতে চান তারা। ফলে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জোটের প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বলেন, তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। এরপরই তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে জোটনেত্রীর সঙ্গে বসার একদিন আগে মঙ্গলবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বাসভবনে বৈঠক করেছেন শরিক দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কী বলবেন, সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেছেন তারা।

আসন্ন বৈঠকের ব্যাপারে রাশেদ খান মেনন বলেন, জোটনেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকেছেন। আগে শুনি তিনি কী বলেন। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আলোচনা করব। যদি তিনি ১৪ দলের জোটকে রাখতে চান, তখন আমরা আলোচনা করব, তিনি কীভাবে রাখবেন। যেভাবে ১৪ দলীয় জোট আছে, সত্যিকার অর্থে এটা কোনো কাজে লাগবে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যদি আমাদের মিলে, তা হলে জোট থাকবে। আর সেটি না হলে তখন সিদ্ধান্ত হবে জোট থাকবে কি না।