দ্রুত সিটি ও পৌর নির্বাচন দিতে চায় সরকার: আসিফ মাহমুদ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ন, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ১:৪১ অপরাহ্ন, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায়। সরকার জনগণের সমস্যা নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর নির্বাচন দিতে চায়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একযোগে ২৯ কর্মকর্তার বদলি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতির চক্র থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বের করে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে পতিত ফ্যাসিস্ট দলের পালিয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ খাত সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।

এসময় রাজনৈতিক নেতাদের জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিব্রতকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত, একমাত্র শর্ত নয়। বিগত সরকার প্রথমবার অত্যন্ত জনপ্রিয় হিসেবেই নির্বাচিত হয়ে এসেছিল। পরে বিতর্কিত নির্বাচনে হলেও তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এসেছিল। কিন্তু দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো দেশ নাই, যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কতটুকু দুর্বল ছিল।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ভয়াবহ দুর্নীতি ছিল। বর্তমান সময়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তারা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় দুর্নীতি নেই তা বলার সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস সরকার এ খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কার কমিশন তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন ঐকমত্য কমিশন তা বিবেচনা করবে।