সড়কে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা, কাকরাইলে এখনও বন্ধ যান চলাচল

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। পুলিশি হামলার বিচার ও তিন দফা দাবিতে রাতভর রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল দশটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাকরাইল মোড়ে অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী অবস্থান করছিলেন। অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ধাপে ধাপে আরও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচীতে যোগ দিবেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ
এর আগে বুধবার রাত ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বিত প্লাটফর্ম ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শাখা ছাত্র ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন।
এসময় তিনি জবিয়ানদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। সারারাত এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবো। এখানে যদি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে সেই দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবো। দুপুরের ন্যায় যদি আবার হামলা চালানো হয়, আমরা তা মেনে নিবো না।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
তিনি বলেন, ‘কোনভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর রক্তচক্ষু দিয়ে তাকাবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাবো না।’
এসময় তিনি উপদেষ্টা মাহফুজের মানসিক কাউন্সিল করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘তার (মাহফুজের) ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এটা সরকারের অবস্থান হতে পারে না। আজকে মাহফুল আলমের সঙ্গে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এর দায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। উনি তার ব্যক্তিগত ক্ষোভকে প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে বিফ্রিং শেষ না করেই উনি চলে যান।’
এর আগে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিতর্কিত করতে কে বা কারা উদ্দেশ্য মূলকভাবে বোতল নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’