২১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে ২১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার প্রধান আসামি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, মডেল ট্রেডিং-এর মালিক ও আরামিটের জুনিয়র অফিসার মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম, হিসাব খোলার পরিচয়দানকারী মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, ইউসিবিএলের সাবেক পরিচালক ইউনুছ আহমদ, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আখতার মতিন চৌধুরী, এম এ সবুর, হাজী আবু কালাম, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌধুরী, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, আফরোজা জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান ও মো. শাহ আলমের নাম রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

এছাড়া ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শ্রাবন্তী মজুমদার, সাবেক এফএভিপি ও কারওয়ান বাজার শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) মোসাদ্দেক মো. ইউসুফ, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার মুঝায়োনা সিদ্দিক, সাবেক এভিপি ও ক্রেডিট অফিসার মোহাম্মদ গোলাম রাকিব এবং ইউসিবির সাবেক এফভিপি ও কারওয়ান বাজার শাখার প্রধান আলমগীর কবিরকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আরামিট গ্রুপভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে কাগুজে প্রতিষ্ঠান মডেল ট্রেডিং-এর নামে ঋণ অনুমোদন করান। এ ক্ষেত্রে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যসম্বলিত নথি দাখিল করা হয়।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

ঋণের অর্থ পরে বিদেশে পাচারসহ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর এবং দায়-দেনা পরিশোধে ব্যবহার করা হয়। মেয়াদ শেষে অনিয়ম আড়াল করতে ইউসিবিএলের আরেক গ্রাহকের নামে নতুন ঋণ অনুমোদন করিয়ে সেই অর্থ দিয়ে পূর্বের ঋণ সমন্বয়ের চেষ্টা করা হয়।

দুদক বলছে, এভাবে আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ঘটিয়ে একুশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।