একটি দলের গুপ্ত কর্মী নিয়োগে এনসিপি ও গণঅধিকারসহ রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত: রাশেদ খান
জামায়াত ও শিবিরের অন্যদলে কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি—এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
রাশেদ খান বলেন, তারুণ্যের এই দুই দলের পাশাপাশি বিভিন্ন দলে নিজেদের লোক যুক্ত রেখে জামায়াত-শিবির শুধু রাজনৈতিক সংগঠন নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পরিচয় গোপন রেখে যুক্ত হওয়ার এ নীতি সংগঠনগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং সন্দেহ-সংশয় বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবির তাদের ইতিহাসের সেরা সময় উপভোগ করছে। যদি তারা মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, সেটা ইতিবাচক। তবে তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য। অন্যদলে যুক্ত হয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সিস্টেম ভেঙে পড়বে এবং বিরাজনীতিকরণ তৈরি হবে। এতে শেষ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
ইসলামকে রাজনীতিতে ব্যবহারের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “মধ্যপন্থি ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে মানুষ ভুল বার্তা পাবে। ইসলামিক রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত, আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত। রাজনৈতিক ইসলাম বলে কিছু নেই। শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা ও ইসলাম কায়েম করার মাঝপথে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এতে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।”
শেষে তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, “এই ক্ষতি থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।”





