‘ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পাশে থাকব’: রফিকুল ইসলাম খান

ফিলিস্তিন ইস্যুতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হয়, আমরা ততদিন তাদের পাশে থাকব। আমাদের লড়াই ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি গাজায় ত্রাণ বহনকারী নৌবহর আটক ও সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। নারী-শিশুসহ সাধারণ জনগণ এর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গতকাল ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে ৫০০-এর অধিক অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও কিছু শক্তিধর দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। তার ভাষায়, “আমরা বিশ্বাস করি শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীনতা অর্জন করবে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই— ইসরায়েলকে দমন করুন, দখলকৃত অঞ্চল মুক্ত করুন এবং আটককৃত কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন।”
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও নগরীর নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাজা অভিমুখে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে। স্পেন থেকে যাত্রা করা এ বহরে ৪০টিরও বেশি জাহাজ ছিল, যেগুলো খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বহন করছিল। এতে ৩৭ দেশের ৪০০ জনের বেশি কর্মী, পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক ও সাংবাদিক ছিলেন। সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও এতে যোগ দেন।
ইসরায়েলি সেনারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় গিয়ে জাহাজগুলো আটকে দেয় এবং যাত্রীদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক ও বাংলাদেশসহ একাধিক দেশ। বাংলাদেশ সরকার একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে আটককৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।