রাষ্ট্র কোনো ছেলে খেলা নয়, সংবিধান কচুপাতার পানি নয়: সালাহ উদ্দিন আহমদ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ন, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৮:০৯ অপরাহ্ন, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, “রাষ্ট্র কোনো ছেলে খেলা নয়, ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, সংবিধান কোনো কচুপাতার পানি নয়, যা ইচ্ছা সেভাবে পরিবর্তন করা যাবে না।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)-এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার শিরোনাম ছিল ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে গণতান্ত্রিক উত্তরণে করণীয়।’

আরও পড়ুন: অক্টোবরের ২৫ দিনে প্রবাসী আয় ছাড়াল ২ বিলিয়ন ডলার

সংবিধান পরিবর্তন প্রসঙ্গে সালাহ উদ্দিন বলেন, “কোনো বৈধ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার কারও নেই। যদি একবার নজির তৈরি হয়, তাহলে দুই বছর পর, পাঁচ বছর পর আবারও একইভাবে দাবি উঠবে সংবিধান পরিবর্তনের। তাই রাষ্ট্রকে নিয়মতান্ত্রিক পথে চলতে দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের স্বার্থকে চূড়ান্ত মনে করি। এই দেশের সার্বভৌম জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মালিক। তাই আমাদের তাদের কাছেই যেতে হবে।”

আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশ একে অপরকে সহায়তা করবে

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়া যেতে পারে। যদি জনগণ ‘হ্যাঁ’ বলে, তাহলে সংসদ সদস্যরা বাধ্য থাকবেন সেই সনদ বাস্তবায়নে। কিন্তু এখনই অবৈধভাবে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে কার্যকর করার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।”

পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে সালাহ উদ্দিন বলেন, “পিআর মানে স্থায়ী অস্থিরতা। নেপালের মতো উদাহরণই প্রমাণ করে, এ ব্যবস্থায় কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা টেকে না। দুই-ছয় মাস পরপর সরকার পরিবর্তন হয়। এতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব নয়।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পিআর পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো সুযোগ নেই। তাহলে তাদের সাংবিধানিক অধিকার কোথায়?”

কয়েকটি দলের আন্দোলনে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল, ফ্যাসিবাদের বাতাস করেছে, তারা কীভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শরিক হতে পারে? জনগণ তাদের মুখোশ চিনে ফেলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল যদি জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে হীন স্বার্থে কাজ করে, তাহলে তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার সামিল। আমরা চাই জাতীয় ঐক্য অটুট থাকুক এবং ফ্যাসিবাদী শক্তিকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠানো হোক।”

এনডিপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সভায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণ দলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।