সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে আইকাও (ICAO) অডিট সম্পন্ন
বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (ICAO)-এর তিন দিনব্যাপী অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ২১ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে এই অডিট কার্যক্রম শেষ হয়।
অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করেন ICAO Global Aviation Training (GAT) তথা Trainair Plus প্রোগ্রামের অডিটর মি. হার্ভে টুরন (Harvey Touron)। তিন দিনের এই অডিটে সিভিল এভিয়েশন একাডেমির টেকনিক্যাল কোর্স পরিচালনা পদ্ধতি, কোর্স কারিকুলাম, সিলেবাস প্রণয়ন, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সিমুলেটর (Simulator Equipment)-এর হালনাগাদ অবস্থা বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, হাদির গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তির সন্ধান দিলে পুরস্কার
এছাড়া, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক মান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, প্রশিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং একাডেমির সামগ্রিক টেকনিক্যাল সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়।
অডিট কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ICAO Certified Instructor ও সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক জনাব প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। তার তত্ত্বাবধানে একাডেমির বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অডিট টিম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অডিট শেষে মি. হার্ভে টুরন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ প্রদানে সিভিল এভিয়েশন একাডেমির ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট-এর জন্য যুগোপযোগী Training Need Analysis (TNA) পরিচালনার পরামর্শ দেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এই অডিটের মাধ্যমে একাডেমির প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষকদের মানোন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অডিটে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো ভবিষ্যতে একাডেমির উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিফলিত হবে।
উল্লেখ্য, সিভিল এভিয়েশন একাডেমি বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ICAO TRAINAIR PLUS GOLD MEMBER হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, যা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।





