জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে তিন ভাগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে তিনটি ভাগে কাজ করার সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয় এমন বিষয়গুলো সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং কিছু বিষয় অফিস আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা সম্ভব। এই দুইটি প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো মতভিন্নতা নেই।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিন আহমদ: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে
তিনি জানান, সংবিধান সংশ্লিষ্ট ৪৮টি বিষয়ের জন্য দুটি বিকল্প প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রথম প্রস্তাবে সরকার জুলাই জাতীয় সনদে সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধনের বিষয়গুলো কার্যকর করার জন্য “জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫” জারি করবে। এরপর উল্লিখিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। আদেশ জারির পর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যা সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া বিল গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদের সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
অন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে এবং সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যরা যেমন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া, সফর রাজ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।





