জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে যা আছে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এ সময়ের মধ্যে গণভোটে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে জাতীয় অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে হবে: রিজওয়ানা
সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থান, যা বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায়।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর: রিজভী
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানায়, ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে সংবিধান সংস্কারসহ রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনের বিস্তারিত প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে সনদে স্বাক্ষর করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন দেখতে বিকল্প-১ বিকল্প-২ এ ক্লিক করুন।





