নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে ইসিতে স্মারকলিপি দিল আট রাজনৈতিক দল

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ন, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫০ অপরাহ্ন, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫–এর আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী নভেম্বরেই গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে আটটি রাজনৈতিক দল। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যায় এসব দলের প্রতিনিধিদল।

বেলা ১১টার দিকে দলগুলোর নেতাকর্মীরা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে তারা ইসিতে প্রবেশ করে স্মারকলিপি জমা দেন।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ নিয়ে কমিশনের পুনরায় বৈঠকের দাবি রাষ্ট্র সংস্কারের

গণভোটের দাবিতে অংশ নেওয়া আটটি দল হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন ভবনের সামনে এবং জামায়াতে ইসলামী মেট্রোরেল স্টেশনের পাকা মার্কেট সংলগ্ন সড়কে পৃথক সমাবেশ করে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম ও নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ নিয়ে তীব্র বিরোধ দুরূহ চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে সরকারের সামনে: আসিফ নজরুল

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতের নেতা নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে আজ ইসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।”

নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও ‘বিগত কমিশনের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। একইসঙ্গে তারা বিএনপির প্রস্তাবিত সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে করার দাবিরও সমালোচনা করেন।

জানানো হয়, এই আটটি রাজনৈতিক দল গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। বৃহস্পতিবারের স্মারকলিপি প্রদান ছিল সেই আন্দোলনের চতুর্থ ধাপ।

তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো—

১️. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি ও নভেম্বরে গণভোট আয়োজন;

২️. জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (চজ) পদ্ধতি চালু;

৩️. সবার জন্য সমান প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত;

৪️. পূর্ববর্তী সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত;

৫️. জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।