জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে চলার আহ্বান রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এবং দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সব রাজনৈতিক দলকে মানা উচিত।
আন্দোলনটি মন্তব্য করেছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের প্রধান প্রয়োজন ছিল জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সম্পন্ন করা। জনগণের জান, মাল, জবান ও সম্মানের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সরকার শুরু থেকেই জাতীয় ঐক্য বিনষ্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই বলছে, দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে, যাতে যতটা সম্ভব টেকসই সংস্কার সম্পন্ন করা যায়। ৭০ ও ৯০-এর দশকের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে, জনগণ রক্ত দিয়ে যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থের ফাঁদে প্রায় নষ্ট হয়ে যায়।
আন্দোলনটি জানায়, তারা শুরু থেকেই গণভোট, উচ্চকক্ষে ভোটের আনুপাতিক হারে আসন বরাদ্ধ, সংবিধান সংস্কার পরিষদ সহ বিভিন্ন উদ্যোগের পক্ষে মতামত দিয়েছে। তবে তারা আরও বলেছে, জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত না হলে ভালো উদ্যোগও ব্যর্থ হতে পারে এবং হিতে বিপরীত হতে পারে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
তাদের উদ্বেগ, সরকার দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় না বসে এবং ঐকমত্য নিশ্চিত না করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে, ফলে ভবিষ্যতে এই সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাবনায় আশংকা রয়েছে।
এ সব সমালোচনার পরও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্বভৌমত্বের জন্য জরুরি। তারা আশ্বস্ত করেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ক্ষতিকর কিছু নেই। দলীয় স্বার্থের কিছু ছাড় দিয়ে এবং রাজনীতিক ইগো ত্যাগ করে, জাতীর কল্যাণের দিকে তাকিয়ে সবাইকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।





