নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখ্যান করলে দুর্নীতি কমবে: দুদক চেয়ারম্যান

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:৫৯ অপরাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে দুর্নীতির বিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের ভোটে পরাজিত করতে পারলে দুর্নীতির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: নারীদের সামনে রেখেই আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক: প্রধান উপদেষ্টা

দিবসটি উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা ও দুদকের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়ে গেছে যে একে পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন। তাই সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোটারদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: চার গুণী নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের যেন প্রতিদিনই উৎসব, কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী শক্তির কার্যক্রম অনেক সময় শুধু একটি দিনে সীমাবদ্ধ থাকে। তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

২০০৩ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে। বাংলাদেশসহ ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আনকাক)-এ স্বাক্ষরকারী ১৯১টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করে থাকে।

এবারের প্রতিপাদ্য—‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪ জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোও দুর্নীতিবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড পালন করছে।

দুদকের পাশাপাশি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)–ও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ২০০৭ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু করলেও ২০১৭ সাল থেকে এটি সরকারিভাবে উদযাপিত হচ্ছে।