বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। তারা বড়দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত
আইজিপি বাহারুল আলম সভায় বলেন, “বড়দিনের উৎসব সার্বজনীন। বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিশ্চিত করতে সক্ষম।”
সভায় জানানো হয়, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কোনো ‘নসিহত’শুনতে চায় না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন গীর্জার নিরাপত্তা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটা সহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন র্যাব মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত আইজি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেন্ট মেরীজ ক্যাথিড্রাল চার্চের ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, জনসংযোগ ও যোগাযোগ সম্পাদক অপু প্লাসিড মধু, দি খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল জন গোমেজ ও সেক্রেটারি মঞ্জু মারিয়া পালমা। সব পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।





