নির্বাচনের তফসিলে ২ মাস সময় রাখতে চায় ইসি

আসন্ন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৬০ দিন বা ২ মাসের মতো সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাধারণত তফসিল ঘোষণার ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হয়।
বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান
নির্বাচনের তফসিলে সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটগ্রহণের তারিখ উল্লেখ থাকে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে যদি কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়, তাহলে তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। এই আপিল নিষ্পত্তির জন্যও সাধারণত তিন-চার দিন সময় রাখা হয়।
সূত্র বলছে, এবার মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিলের জন্য তফসিলে বেশি সময় রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, আপিল শুনানির জন্য সাধারণত যে সময় রাখা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার সময় বেশি রাখার চিন্তা করছে ইসি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিলে সাধারণত যে সময় দেওয়া হয়, এবার তা থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সব কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ এবং প্রার্থীদের আপিল শুনানিতে তাড়াহুড়া না করে যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া এবং বাস্তবতার নিরিখে কাজ সম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে, তা নির্ধারণ করে তফসিল চূড়ান্ত করবে কমিশন।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন। তার আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৭ দিন পর ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ ১০ দিন পেছানো হয়।