জামায়াতের সমাবেশ,নিরাপত্তায় মোতায়েন ১২ হাজার পুলিশ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১৯ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দফা দাবিতে আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সকাল থেকেই ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী এসে সমাবেশস্থলে জমায়েত হয়েছেন। দুপুর ২টা থেকে মূল কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এর মধ্যে ৪ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এবং বিভিন্ন থানার ৮ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছে। এছাড়াও ডিবির সদস্যরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে নিয়োজিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন: জোটে না এককভাবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব সদস্যদের চতুর্দিকে পেট্রোল ও অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে আগেই।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, ইউনিফর্ম ও সিভিল ড্রেসে রমনা বিভাগের পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবে। যান চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক বিভাগ নির্দিষ্ট পার্কিং পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে এবং ঢাকার বাইরের গাড়ির জন্য রুটও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: আমান উল্লাহ আমান

এছাড়া, জামায়াতের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। যাতায়াত ব্যবস্থাপনা ও পার্কিং বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জাতির উদ্দেশে একটি ‘ঐক্যের ডাক’ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হতে পারে।

সার্বিকভাবে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা এবং জনসমাগমে উত্তাল এক দৃশ্যপটের সৃষ্টি হয়েছে।