দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন রুমিন ফারহানা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা। দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন রুমিন ফারহানা। এ সময় তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যদিও তার পারিবারিক বসতভিটা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে, তবে তার দাদা-দাদি ইসলামপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আসা দেশবাসীকে তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা
এর আগে গত বুধবার রুমিন ফারহানার পক্ষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু বকর সরকারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন।
সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক খেজুরগাছ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাঁর মনোনয়নপত্র গত সোমবার সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসায় পৌঁছালেন তারেক রহমান
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পর রুমিন ফারহানা বলেন, “আমি আজ গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলাম। আমি গত ১৭ বছর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছি। এলাকার মানুষের দোয়া ও সমর্থন চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার মানুষের প্রতি আহ্বান থাকবে—তারা ভোটের মাধ্যমে বিচার করবে গত ১৭ বছর কে তাদের পক্ষে কথা বলেছে। আমার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে, তার জবাব মানুষ ব্যালটের মাধ্যমেই দেবে। জোট না দেওয়ার জন্য মানুষের আকুতি উপেক্ষা করা হয়েছে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার প্রতীক হাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রুমিন ফারহানার বাবা, ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদ। রুমিন ফারহানার দাবি, ওই নির্বাচনে তার বাবা বিজয়ী হলেও পরদিন নৌকার প্রার্থী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।





