তারেক রহমানের মহাপ্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা

Rashedul Hoque
রাশেদুল হক
প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৬ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

১/১১ সরকার ও ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের নির্পীড়নে দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে ফিরতে পারেননি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে মায়ের কাছে ফিরেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে পূর্বাচলের তিনশ ফিটের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত মানুষের সমাগম কোথাও ঘটেনি বলে গণমাধ্যমে উঠে আসে। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের আশপাশের সড়ক ও পূর্বাচলে সমবেত হয়েছিলেন লাখ লাখ নেতাকর্মীর পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত জনতাও। মা, মাটি ও মানুষের দল বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে মহাপ্রত্যাবর্তনে দলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। তাদের মাঝে বিরাজ করছে বাঁধভাঙা উল্লাস। এদিকে গতকাল তারেক রহমান পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে গেলে লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। সাভার স্মৃতি সৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন এ খবরে সেখানেও লাখো জনতা তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছেন। 
জানাগেছে, দলের কাণ্ডারির প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সর্বত্রই এখন বইছে আনন্দের জোয়ার।  সকল নেতাকর্মী, সমর্থক ছাড়াও উজ্জীবিত সাধারণ মানুষও। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হওয়ায়   তৃণমূল থেকে কেন্দ্র-সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য। তারেক রহমানের আগমনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচরণায় নতুন মাত্রা পাবে। বাংলাদেশসহ আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে গতকালের প্রধান খবর ছিল তারেক রহমানের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। আলজাজিরাসহ বেশ কয়েকটি গণামাধ্যমে তাঁকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছিল— নির্বাচনের আগে নির্বাসন থেকে ফিরলেন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। সংবাদ সংস্থাটি বলছে, তারেক রহমানের এই ফেরা তার সমর্থকদের মধ্যে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং তিনি এখন প্রধানমন্ত্রী পদের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির শিরোনাম ছিল— সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এই উত্তরসূরি বিপুল জনসমর্থন আর উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরেছেন, যা আগামী নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। 
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে শিরোনাম করেছে— ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বিবিসিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে থাকা তারেক রহমানই হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রনায়ক।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এই ফেরা কেবল একটি সাধারণ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এটি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রে ফেরার একটি বড় ধাপ। বিশ্বের অধিকাংশ শক্তিশালী গণমাধ্যম মনে করছে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল। ১৭ বছরের মামলা, হামলা আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে তার এই রাজকীয় প্রত্যাবর্তনকে ‘পরিবর্তনের প্রতীক’ হিসেবে দেখছে বিশ্ব সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার সংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের বিখ্যাত উক্তি ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিংয়ের নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো? মার্টিন লুথার কিং-এর একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে— ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই— ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’ ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি (দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে)। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।’তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্যে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।  
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, ‘তারেক রহমানের আগমন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে। রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে।’
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’ এছাড়া তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান এ দেশের নাগরিক। তিনি অনেকদিন পরে দেশে ফিরেছেন। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন। তিনি (তারেক রহমান) দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি। আমরা তাকে স্বাগত জানাই।’
তারেক রহমানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, একজন রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন। তারেক রহমান ও তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতার যাতে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।’ 
তিনি আরও লেখেন, ‘বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।’
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বৃহস্পতিবার তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দেন। সেই পোস্টের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘স্বাগতম, তারেক রহমান!’ এরপর আখতার লেখেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর জুলুমের শিকার হয়ে পরবাসী থেকে অবশেষে আজ দেশে ফিরেছেন। ফের বাংলাদেশের সম্মুখ রাজনীতিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি, আপনার পরিবার ফ্যাসিবাদের কালে নিদারুণ কষ্ট, জুলুম, নিপীড়ন, লাঞ্ছনা, নিগ্রহ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে এটা গর্বের, সম্মানের।’ আখতার হোসেন লিখেছেন, ‘আমাদের জুলাই শহীদরা নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষায় জীবন দিয়েছেন। নতুন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আপনার আজকের প্রত্যাবর্তন। প্রত্যাশা করি, জুলাইয়ের সেই কাঙ্ক্ষিত নতুন দেশ, নতুন রাজনীতি আর নতুন স্বপ্নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ পরিচালিত হবে নতুন শপথ পূরণের পথে। শুভকামনা।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক, জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম খালেদা জিয়া যেন দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, সেই দোয়া করি।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা চব্বিশের অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তার আগমন দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে আমরা আশা করি। কারণ দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে বিএনপির মতো বৃহৎ একটি দল সরাসরি নেতৃত্ববঞ্চিত ছিল। তারেক রহমানের আগমনে সেই শূন্যতা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘১৭ বছর পরে তারেক রহমানের আগমনের মর্মে আরেকটি নির্মম সত্য আছে, সেটা হলো-সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। পতিত ফ্যাসিস্টের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে প্রতিহিংসা চিরতরে উৎখাত হোক সেই প্রচেষ্টা তারেক রহমানসহ আমাদের সবার চালিয়ে যেতে হবে। আশা করি তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুস্থতায় অবদান রাখবেন।’
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘তারেক রহমান তার বক্তব্যে নিজস্ব প্ল্যান থাকার কথা বলেছেন। সেই প্ল্যানে ইতিবাচক সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ এবং ফ্যাসিবাদের চিরস্থায়ী বিলোপের বন্দোবস্ত থাকবে বলে আমরা আশা করি।’
তারেক রহমানের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই। তার আগমনে বিএনপির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন।’ 
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তার এই আগমন দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সংহত করার পাশাপাশি রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে। তার (তারেক রহমান) দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।’ 
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার এবং জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে আসছে, তা পূরণে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তার ভাষণে দেশের মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।’ 
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তারেক রহমান সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান, গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে চান। এই বার্তাটা তিনি স্পষ্টভাবে দেশবাসীকে দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন। শহীদদের কথা বলেছেন। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলেছেন। আধিপত্যবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে সামগ্রিক বিষয় উঠে এসেছে।’ 
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল ক্কাফী রতন বলেন, ‘আমরা আশা করছি তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্র এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন। নব্বইয়ের পর আমরা জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তারেক রহমান তার বক্তব্যে আশার বাণী শুনিয়েছেন। আমরা আশা করছি তিনি আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ উপহার দিতে সচেষ্ট থাকবেন।’ 
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংযম, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান।’