স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর প্রথমবার চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে তারেক রহমান
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুলশান কার্যালয়ে তাঁর আজকেই প্রথম আগমন। এক-এগারোর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র জন্য এই কার্যালয় খোলা হয়। রোববার দুপুর, ১টা ৪০ মিনিটে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গাড়ি গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এর আগে তিনি গুলশান এভিনিউ’র বাসভবন থেকে এই কার্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা করেন।
এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ফুল দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত
এসময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, আতিকুর রহমান রুমন, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ শিবলী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন এবং বগুড়ার জেলার নেতৃবৃন্দ, চেয়ারপার্সন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাড়ি থেকে নেমে উপস্থিত সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়পর্ব শেষ করে কার্যালয় ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কার্যালয়ের দোতলায় নিজের জন্য নির্ধারিত কক্ষে গিয়ে বসেন এবং দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় মোতায়েন থাকবে ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
এদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা কক্ষ করা হয়েছে। এই কার্যালয়ের দোতলায় চেয়ারপার্সনের কক্ষের পাশেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের চেম্বার তৈরি করা হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ১৭ বছর পর দেশে ফিরেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপ্রিম কোর্টের জামিন নিয়ে স্বপরিবারে লন্ডন যান। সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।





