সিঙ্গাপুরের শীর্ষ হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

বাংলাদেশের গর্ব—ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সিঙ্গাপুরের বিশ্বখ্যাত মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য সুপরিচিত এসব হাসপাতালে ওয়ালটনের তৈরি এয়ার কুলড স্মার্ট ইনভার্টার চিলার স্থাপন করাকে বাংলাদেশের প্রযুক্তি অগ্রগতির এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বাজারে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দ্রুত বাড়ছে ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা। উন্নত মান, এআই ও আইওটি নির্ভর স্মার্ট প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব ও শক্তি-সাশ্রয়ী ফিচারের কারণে বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে ব্র্যান্ডটি।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারের ৭টি ভুল অভ্যাসে বিপদ! বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান Flare M&E Private Limited–এর মাধ্যমে দেশটিতে ওয়ালটনের এসি ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার। একইসঙ্গে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালেও স্থাপনের কাজ চলছে।
ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান বলেন, “এক সময় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর থেকে এসির কাঁচামাল আমদানি করত। এখন সেই দেশেই ভিআরএফ ও চিলারের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসি রপ্তানি করছে ওয়ালটন—এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।”
আরও পড়ুন: অনলাইনে জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি প্রচার বন্ধের নির্দেশনা জারি
বর্তমানে ওয়ালটন বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে ভিআরএফ (Variable Refrigerant Flow) সিস্টেম উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনে নিয়মিত বিনিয়োগ করছে, যার ফলে এআই, আইওটি ও এনার্জি ইফিশিয়েন্ট প্রযুক্তি সমৃদ্ধ পণ্য তৈরি হচ্ছে দেশে।
ওয়ালটন চিলারের বিশেষ ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে—উচ্চ দক্ষতার ইনভার্টার কম্প্রেসর, স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম (PLC ও টাচ স্ক্রিন), কম শব্দে কার্যক্ষমতা ও স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা, সহজ রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট যেমন ISO 14001, ISO 45001, CE এবং RoHS অর্জন করেছে ওয়ালটন এসি।
শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অর্জনের মাধ্যমে ওয়ালটন শুধু বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পকেই শক্তিশালী করছে না, বরং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড উপস্থিতি আরও সুসংহত করছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে।