বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকায় ঢাকা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ন, ০৩ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, ০৩ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকায় আজ ঢাকা। সকাল ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। রোববার (৩ মার্চ) শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েত নামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৬২। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরের স্কোর ১৬০, চতুর্থ অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৫৯ এবং সমান স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে চীনের ছেংদু শহর।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’: চার সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ু দূষণ খুবই ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ধেয়ে আসছে, বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।