চুনারুঘাটে আফরোজ হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার

সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। চুনারুঘাটে ২০০ টাকা বিরোধের জেরে আফরোজ মিয়া (৪৬) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মোঃ জালাল মিয়া (২৭), নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জালাল চুনারুঘাট উপজেলার গনকিনপাড় হুরার টিলা এলাকার মোঃ জহুর হোসেনের পুত্র। তাকে সোমবার ৮ জুলাই বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ভারতে পালিয়ে যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক এসআই লিটন রায়ের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই মনির হোসাইন সহ একদল পুলিশ দুপুরে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার ইসহাকের মেয়ের জামাই রতন মিয়া স্থানীয় শিরিনার দোকান থেকে বাকিতে ২০০ টাকার সদাই করেন। পরদিন বিকেলে টাকা চান দোকানদার শিরিনা। ওই সময় টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করেন রতন মিয়া। এনিয়ে শিরানা ও রতনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিরিনার দোকানে ভাঙচুর চালায় রতন। ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন- নিহতের ভাই তাজুল মিয়া। তিনি রতনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে শিরিনার টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ সময় তাদের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মুরুব্বীরা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং ২০০ টাকা শিরিনা দোকানদার পাবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। এই ক্ষোভে শনিবার রাতে নিহত আফরোজের ঘরে ঢিল ছুড়ে অভিযুক্ত রতন। বিষয়টি রতনের শ্যালক রুবেলকে জানানো হয়। এনিয়ে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
এক পর্যায়ে গত ৭ জুন গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোঃ আফরোজ মিয়াকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতর স্ত্রী শাহেনা আক্তার জালাল সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে গতকাল রবিবার বিকেলে নিহত আফরোজ মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।