৬ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো গুলিতে নিহত বিএনপি নেতা মামুনের মরদেহ

Any Akter
পিরোজপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ন, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫০ পূর্বাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে গত ৫ আগস্ট নিহত মামুন খন্দকার (৪৩) এর মরদেহ ছয় মাস পর কবর থেকে তোলা হচ্ছে। ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে গত ৫ আগস্ট নিহত মামুন খন্দকার (৪৩) এর মরদেহ ছয় মাস পর কবর থেকে তোলা হচ্ছে। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে গত ৫ আগস্ট নিহত মামুন খন্দকার (৪৩) এর মরদেহ ছয় মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবর থেকে এই মরদেহ তোলা হয়।

এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি

নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের সন্তান। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। মামুন নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। ফলে নিহতের ৫ মাস ২৬ দিন পর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।

নিহত মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের লোক জনের হাতে আহত হয়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার ৭ আগস্ট মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ

নিহতের ভাই মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, টাকা উপার্জন করার জন্য পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানার বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।

নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছে তাদের আমি বিচার চাই।

মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।