মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কে বলাৎকার এর ঘটনায় মামলা

চুনারুঘাট উপজেলার হোসানীয় জামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় (নতুন ব্রিজ) হিফজ বিভাগের ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুর মা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম এর স্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষক বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের আওয়াল মল গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) কে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
আদালত মামলা এফ আই আর গণ্যে রুজুর জন্য চুনারুঘাট থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম হোসানীয় জামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফিজি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাদীর ছেলে মো. তাহিমুল ইসলাম কনক ওরফে বোরহান উদ্দিনকে কোরআন হাফেজি শিখার জন্য ০২ বৎসর আগে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। সে কোরআন শরীফের ১৫ প্যারা মুখস্থ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষকের রুমে ডেকে বলৎকার করে। শুধু বাদীর ছেলেই নয় অন্য ছাত্রদেরও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলৎকার করে।
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার
বাদীর ছেলে ও তার সহপাঠীরা শিক্ষক ও লোকলজ্জার ভয়ে বলতে সাহস পায়নি। বাদীর ছেলে ছাড়াও তার সহপাঠী আব্দুল্লাহকেও কয়েকবার বলৎকার করা হয়েছে।
গত ২১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি বাদীর ছেলে মো. তাহিমুল ইসলাম কনক ওরফে বোরহান উদ্দিন কে শিক্ষক সাইফুল ইসলামের রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করে। তার ছেলের চিৎকার চেঁচামেচিতে সহপাঠী আব্দুল্লাহ সহ অনেকে এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি বাদী জানতে পেরে পরের দিন আত্মীয় স্বজন সহ চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বাদীর ছেলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামি সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা চুনারুঘাট থানায় স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল জাহির সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে এবং মহাসড়কে প্রতিবাদ সভা করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।