বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে নাছিমা কাদির মোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীরা

Sanchoy Biswas
আশিকুর রহমান, নরসিংদী
প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ন, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এসএসসির ফলাফলে এবারও সাফল্য অব্যাহত রেখেছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা (এনকেএম) হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের শিক্ষার্থীরা। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নাছিমা কাদির মোল্লা স্কুল থেকে ৩২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩২০ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পাসের হার শতভাগ। এ সাফল্যের ফলে অর্জন করেছেন ঢাকা বোর্ডের ১ম স্থান।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সারাদেশে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন। ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বাসিত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষরা।

আরও পড়ুন: তিন যুগ পর চাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

স্কুলের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লা বলেন, নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতি বছরই ঢাকা সহ সারাদেশের বোর্ড তালিকায় অন্যতম সেরা স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে ১ম স্থান দখল করেছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বরাবরই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সেরা ফলাফল করছে। এবারও শতভাগ পাসসহ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। মূলত নরসিংদীর মতো মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়েই এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটোরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এই ভালো ফল সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় বিশ্ব শিশু দিবসের সমাপনী

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফলের মূলমন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়। আবদুল কাদির মোল্লার সময়োপযোগী সঠিক দিকনির্দেশনা আর এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে।

স্কুলটি বর্তমানে ১৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন।